হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) ১৮৭৩ খৃষ্টব্দে ডিসেম্বরের কোন এক শনিবার প্রত্যুষে সাতক্ষীরা জেলার (তত্কালীন খুলনা জেলার) নলতা শরীফে জন্মগ্রহন করেন ।
তাহার পিতামহ মরহুম দানেশ সাহেব অতিশয় ধনাঢ্য ব্যাক্তি ছিলেন । ধন ঐশ্বয্যের উর্ধ্বে তিনি এক মহাঐশ্বর্য্য লাভ করিয়াছিলেন ।হযরত এর পিতা ছিলেন মরহুম মফিজউদ্দীন সাহেব । তিনি ছিলেন অত্যান্ত ধর্মানুরাগী ।তিনি পিতৃলব্ধ সমস্ত সম্পত্তির অধিকাংশই দান করিয়াছিলেন ।
হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) ছিলেন অতি উচ্চশিক্ষিত একজন মহামনিষী । তিনি লণ্ডন মিশনারি সোসাইটি ইনষ্টিটিউশন থেকে ১৮৯০সালে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স (এস. এস. সি.) পরীক্ষায় উত্
aboutahsan.html
:: হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) ::
হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) ১৮৭৩ খৃষ্টব্দে ডিসেম্বরের কোন এক শনিবার প্রত্যুষে সাতক্ষীরা জেলার (তত্কালীন খুলনা জেলার) নলতা শরীফে জন্মগ্রহন করেন ।
তাহার পিতামহ মরহুম দানেশ সাহেব অতিশয় ধনাঢ্য ব্যাক্তি ছিলেন । ধন ঐশ্বয্যের উর্ধ্বে তিনি এক মহাঐশ্বর্য্য লাভ করিয়াছিলেন ।হযরত এর পিতা ছিলেন মরহুম মফিজউদ্দীন সাহেব । তিনি ছিলেন অত্যান্ত ধর্মানুরাগী ।তিনি পিতৃলব্ধ সমস্ত সম্পত্তির অধিকাংশই দান করিয়াছিলেন ।
হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) ছিলেন অতি উচ্চশিক্ষিত একজন মহামনিষী । তিনি লণ্ডন মিশনারি সোসাইটি ইনষ্টিটিউশন থেকে ১৮৯০সালে কৃতিত্বের সাথে এন্ট্রান্স (এস. এস. সি.) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হয়ে বৃত্তি লাভ করেন । তিনি হুগলী কলেজ থেকে ১৮৯৪ সালে এফ. এ. (এইচ. এস. সি.) এবং ১৮৯৪ সালে কলিকাতার প্রেসিডেণ্সি কলেজ থেকে সাফল্যের সাথে বি.এ পাশ করেন এবং ১৮৯৫ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দর্শন শাস্ত্রে এম. এ. ডিগ্রী লাভ করেন । তিনি ১৯১১ সালে বৃটিশ সরকার কর্তৃক "খানবাহাদুর" উপাধিতে ভূষিত হন এবং একই সালে তিনি ROYAL SOCIETY FOR THE ENCOURAGEMENT OF ARTS MANUFACTURES & COMMERCE এর সদস্যপদ লাভ করেন । তিনি সমাজ সেবা, সমাজ সংস্কৃতি বিশেষ করে দীন প্রচারের কাজে অবিস্মরনীয় অবদানের জন্য 'ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ' পুরস্কারে ১৪০৪ হিঃ (মরণোত্তর) ভূষিত হন ।
হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রঃ) বাল্যকাল থেকেই নির্জনতা প্রিয় ও ইছলাম ধর্মের অনুশাসনের প্রতি গভীর অনুরক্ত ছিলেন । ১৯০৯ সালে তিনি হযরত গফুর শাহ আল হোচ্ছামী (রঃ)-এর নিকট বায়াত গ্রহন করেন । ১৯২০ সালে স্বীয় মুর্শিদের সাথে হজ্জব্রত পালন করেন । তিনি "স্রষ্টার এবাদাত ও সৃষ্টের সেবা" এই উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৩৫ সালে আহছানিয়া মিশন গঠন করেন । "সমগ্র মানব জাতির সামাজিক ও আধ্যাত্নিক জীবন গঠনের মহান" ব্রত নিয়ে বর্তমানে দেশে বিদেশে প্রায় শতাধিক শাখা মিশন সহ মিশনের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । এছাড়াও তিনি মানব জাতির আত্নশুদ্ধি এবং পথ প্রদর্শনের জন্য বহু পুস্তকাবলী রচনা করেন ।
এ মহান সাধক ১৯৬৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০:১০ মিনিটে অগণিত ভক্তকে শোক সাগরে ভাসিয়ে পর্দার অন্তরালে চলে যান । তিনি আজও আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন তাঁর আদর্শে, লেখনীতে, নলতা কেন্দ্রীয় আহছানিয়া মিশনসহ শতাধিক শাখা মিশনের কার্যক্রমে এবং অগনিত ভক্তকুলের হৃদয়ে হৃদয়ে । হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা (রহঃ) এমন সব আল্লাহ প্রদত্ত গুণে গুণান্বিত ছিলেন যে, তার সম্পর্কে আংশিক বিবরন দেওয়াও কোন সাধারন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় । উপরের দেওয়া তথ্যগুলো হযরত খানবাহাদুর আহছানউল্লা রহঃ এর লেখা কয়েকটি পুস্তক থেকে সংগ্রহীত ।